রামপুরহাট, 17 জানুয়ারি : সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি পদে নিযুক্ত হওয়ার পর নিজের সংসদ এলাকা রামপুরহাটে ফিরলেন শতাব্দী। আর ফিরেই, নতুন পদ পেয়ে যে খুশি সে কথা প্রকাশ করলেন। পাশাপাশি, খোলামেলা ভাষায় জানালেন, তিনি কোথাও যান নি। গোটাটাই মিডিয়ার সৃষ্টি। এদিন আশীষ বন্দোপাধ্যায়ের সাথে তার দেখা সাক্ষাৎ না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব সময় দেখা হবে এমনটা সম্ভব নয়। এক প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ বলেন, দলকে ডিস্টার্ব করা আমার উদ্দেশ্য নয়, কেষ্টদা যেখানে যেতে বলবেন সেখানেই যাব। জেলার সংগঠক হিসেবে তিনি যেখানে প্রচারে যেতে বলবেন, সেখানে যাব। আমার উদ্দেশ্য কাজ করা। আগেও কেষ্টদার কথামতো চলেছি। আমি কেবল ডেট দিয়েছি, কেষ্টদাকে বলেছি প্রোগ্রাম ঠিক করে দাও। উনার কথামতো আমি গেছি। উনি বলেছেন এই বিধান সভায় বেশি যাও, সেখানে গেছি। আগামীতেও যাব। উনি জেলার দায়িত্বে আছেন। যেখানে আমাকে উপস্থিত থাকতে বলবেন, সেখানেই আমি থাকবো। আমি উনার অনুষ্ঠানে থাকবো। আমার নিজস্ব কোন অনুষ্ঠান নেই। এদিন শতাব্দী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, দলে যাদের সমস্যা হচ্ছে তাদের সবাই যে ভয় দেখানোর জন্য বলছে তা নয়। তাদের প্রত্যেকের সমস্যা হচ্ছে। না হলে, সুখে থাকতে ভুতে কিলোবে কেন? আমার মনে হয় প্রত্যেকের কথা যাচাই করে তাকে প্রাপ্য সম্মান টুকু দেওয়া উচিৎ। এদিন দলে পিকের ভূমিকা নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন সাংসদ। তিনি বলেন, পিকের আগে দলের কর্মীরা এত সক্রিয় ছিল না। এখন সুসংবদ্ধভাবে কাজ করছে। দল তার অভিমান ও অভিযোগ যেভাবে দূর করার চেষ্টা করেছেন, তার জন্য তিনি খুশি। তিনি আশা করেন, ঠিক সময়ে সেই সমস্যা তিনি দূর করবেন। আসলে এই সময়টা নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের সময় নয়। এখন দলকে জেতানোর সময়। সারাবছর পড়াশোনা করে যদি পরীক্ষায় না বসা হয় বা পরীক্ষা না দেওয়া তাহলে সেই ছাত্রের কেরিয়ার নষ্ট হয়। মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞ যে তাঁরা আমার প্রতি ভরসা রেখেছেন। শুধু বীরভূম না, বীরভূমের বাইরে সাংগঠনিকভাবে আমাকে যে সম্মান ও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার জন্য ওদের দুজনের কাছে এবং দলের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের কোন পদে ফিরতে চান না তিনি। আগে দুবার পদত্যাগ করেন, যদিও তা গৃহিত হয় নি। নতুন করে পদত্যাগ পত্র পাঠাতে চান না। কারণ তাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, সেখানে আমার কেবল পদ ধরে রাখা হচ্ছিল। আমার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা পর্যন্ত হচ্ছিল না। তাই শুধু শুধু পদ ধরে রাখতে চাই নি। এদিন তিনি স্বীকার করেন , বিজেপির পক্ষ থেকে তার সাথে যোগাযোগ করা হয়। যদিও তাদের নাম তিনি বলতে চান নি।
দলকে ডিস্টার্ব করা আমার উদ্দেশ্য নয়, কেষ্টদা যেখানে যেতে বলবেন সেখানেই যাব: শতাব্দী
Loading...